স্ত্রীর সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় নৌবাহিনীর এক কমান্ডারকে তলব
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
স্ত্রীর সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নৌবাহিনীর এক কমান্ডারকে তলব করেছে আদালত। সমন পাওয়া নৌ কমান্ডার মো. তানভীর আলম খানের বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ওই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার স্ত্রী বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকে কর্মরত চিকিৎসক নুসরাত খান। প্রাথমিক তদন্তের পর অভিযোগটি মামলা হিসেবে নিয়ে তানভীরকে আগামি ২১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে সমন পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই। গত রোববার শুনানি শেষে তাকে তলবের নির্দেশ জারি হলেও বিষয়টি গতকাল সোমবার জানা যায় বলে জানান নুসরাত খানের আইনজীবী মিথুন মজুমদার। তিনি বলেন, প্রবঞ্চনা করে সম্পত্তি অপসারণ ও অসাধুভাবে তা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা ছাড়াও যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে তানভীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা করেছেন নুসরাত খান। নির্যাতনের মামলায় জামিনে থাকা তানভীরকে নুসরাতের পক্ষ থেকে তালাকের নোটিসও পাঠানো হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মিথুন। নির্যাতনের মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১১ সালের ২০ মে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে তানভীরের সঙ্গে নুসরাতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তানভীর তার বাবার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। বিষয়টি প্রথমে নৌবাহিনীর ইন্টিলিজেন্স ও নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে মৌখিকভাবে ও পরে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে কোনো সাহায্য না পেয়ে গত ২২ অগাস্ট ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এই মামলা করেন বলে জানান নুসরাত খান। তিনি বলেন, যৌতুকের কারণে মারধরের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশও দিয়েছেন নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সফিউল আজম। এদিকে আত্মসাৎ মামলার অভিযোগে বলা হয়, স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের দুজনের তৎকালীন আবাস রাজধানীর ভাষানটেকের এস্যুরেন্স সিটির ফ্ল্যাট থেকে নুসরাতের ব্যক্তিগত টাকায় কেনা বিভিন্ন রকমের আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি সামগ্রী, যার দাম ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং একটি প্রাইভেট কার আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান আসামি। এ নিয়ে ভাষানটেক থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন নুসরাত খান। কিন্তু থানা থেকে মামলা না নিয়ে শুধুমাত্র সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নেওয়া হলে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে যান এই চিকিৎসক।